পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ও কলেজ অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভুয়া সনদপত্রের মাধ্যমে একটি কলেজে প্রভাষক পদে চাকরি নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এ মামলা করা হয়। মঙ্গলবার দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ পান পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজের দাতা সদস্য এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন। প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে এটি সরকারিকরণ করা হয়। এরপর লায়লা পারভীন কলেজটির প্রভাষক হিসেবে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করেন।
তবে নিয়োগ পরীক্ষায় লায়লা পারভীন এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পাসের যেসব সনদপত্র দিয়েছেন তার সবই ভুয়া। মূলত স্বামীর প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদের সহযোগিতায় ভুয়া সনদপত্র দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।