কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চুরির অভিযোগে নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনে গ্রেপ্তার তিন নারী আসামিকে ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। তারা হলেন- উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের রিপনের স্ত্রী মুক্তি খাতুন, মোমিনের স্ত্রী পারভিন খাতুন ও বক্করের স্ত্রী লিপি খাতুন।
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ বলেন, আসামিদের আদালতে নেওয়ার সময় গ্রামের লোকজন বাধা প্রদানের চেষ্টা করেছেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে গাছে বেঁধে নির্যাতনে মাথার চুল কেটে দেওয়া এবং বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী রিনা খাতুন। এ মামলায় শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকা থেকে গতকাল সকাল ৯টার দিকে তিন নারী আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাও করেন শতাধিক গ্রামবাসী।
এ সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রিপন বলেন, আমরা চোরের শাস্তি এবং আটক ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার বিকালে প্রতিবেশীর ঘরে ঢুকে ফ্রিজ থেকে মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে ভুক্তভোগী নারীর বিরুদ্ধে।