মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার কিট মজুত না থাকায় উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই জ্বর, কাশি, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগী আসছেন। কিন্তু পরীক্ষার অভাবে তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। অনেক সময় রোগীকে আলাদা রাখা হলেও পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এতে চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন জটিল হয়ে উঠছে, তেমনি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।
গোপালনগর গ্রামের ৬২ বছরের বৃদ্ধ জয়নাল মণ্ডল বলেন, ‘তিন দিন ধরে জ্বর-কাশি হচ্ছে। ছেলে মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে আনল, কিন্তু ডাক্তার বললেন কিট নেই, পরীক্ষা করা যাবে না। শহরে গিয়ে পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই। এখন কী করব?’
হাসপাতালের নার্স রোকেয়া বেগম জানান, রোগীরা আমাদের ওপর রাগ করেন, অথচ আমাদের হাতে কিছু নেই। নিজেরাও ঝুঁকিতে আছি, কারও করোনা আছে কি না, তা না জেনেই প্রতিদিন সামনে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়।’
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে আমাদের হাতে একটি কিটও নেই। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আবু সাইদ জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কিছুটা কিট-সংকট দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই সংকট কেটে যাবে।