দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় লক্ষ্মীপুর পৌর বাস টার্মিনালের এখন বেহাল অবস্থা। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীসাধারণ, বাসচালক ও শ্রমিকরা। ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন হাজারও যাত্রী এ টার্মিনালে আসা-যাওয়া করে। শ্রমিকরা বলছেন, টার্মিনালের মূল চত্বর একেবারেই ব্যবহার অনুপোযোগী। বাধ্য হয়ে প্রধান সড়কে যাত্রী ওঠানামা করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে অপ্রীতিকর বিভিন্ন ঘটনা, ছোটবড় দুর্ঘটনা। টার্মিনালে খানাখন্দে পড়ে অনেক সময় নষ্ট হয় গাড়ির যন্ত্রাংশ। টার্মিনালের সীমানাপ্রাচীরও ভেঙে গেছে বহু আগে। টার্মিনালে গাড়ি ও চালকদের নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় থাকতে হয়। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বাস টার্মিনালের এ বেহাল দশা, অভিযোগ করেন যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে জমে আছে পানি। কাদার কারণে হাঁটাও মুশকিল। এর মধ্যেই কোনোমতে বাস চলছে, যাত্রী ওঠানামা করছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক, চালক ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৬ সালে বাস টার্মিনাল মাঠ নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালের দিকে কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়। তবে ভবনটির এখন ভঙ্গুর অবস্থা। পুবপাশে পুকুর থাকলেও পানি নিষ্কাশন হয় না। রাতে বৈদ্যুতিক লাইটগুলো ঠিকমতো না জ্বলায় অন্ধকারে থাকতে হয়। ইকোনো বাসের চালক ইলিয়াস বলেন, ‘গাড়ি রেখে গেলে মালামাল চুরি হয়। বড় বড় গর্তে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। টার্মিনালে কোনো গাড়ি ঢোকানো যায় না। ঢাকা এক্সপ্রেসের ম্যানেজার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ টার্মিনালে যাত্রী আসা-যাওয়া করে। ইকোনোর ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার জুয়েল বলেন, ‘বর্ষায় কাদাপানি আর শুষ্ক মৌসুমে বালিতে ভরে যায়। বড় গর্তে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়।’ লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক জসীম উদ্দিন বলেন, ‘শগগিরই দুর্ভোগ কাটাতে কিছু কাজ করা হবে। টার্মিনালটি আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।’