চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দুজন মেডিকেল অফিসার ও একজন গাইনি কনসালট্যান্ট দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এখানকার স্বাস্থ্যসেবা। ২০২৩ সালের নভেম্বরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে আজও মেলেনি প্রয়োজনীয় জনবলসহ সুযোগ-সুবিধা। সংশ্লিষ্টরা জানান, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ জন, আন্তবিভাগে ৫০-৫৫ জন এবং ল্যাবে গড়ে ২০-৩০ জন রোগী সেবা নেন। হাসপাতালের অপারেশন কার্যক্রম চালানো হয় ভাড়া করে আনা অ্যানেসথেসিওলজিস্ট দিয়ে। প্রধান সহকারী, স্টোর কিপার ও হিসাব শাখার গুরুত্বপূর্ণ পদ স্বাস্থ্য সহকারীকে দিয়ে চালানো হচ্ছে। উপজেলার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪৮ জন মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা এ হাসপাতাল। রোগী বাড়লে ওষুধের স্বল্পতা দেখা দেয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৩১ শয্যার জন্য এ হাসপাতালে ৯ জন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা। আছেন একজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ও একজন মেডিকেল অফিসার (হোমিওপ্যাথিক) এবং ঘোড়াঘাট উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে একজন। ৭টি মেডিকেল অফিসার পদ শূন্য। হাসপাতালের ১২২ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৭৪টি। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, জুনিয়র মেকানিক, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ও তিনজন ওয়ার্ড বয়, দুজন আয়া, দুুজন বাবুর্চি থাকার কথা থাকলেও সব পদ শূন্য রয়েছে। তিনজন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ছয়জন স্বাস্থ্য সহকারী, চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও একজন নিরাপত্তাকর্মীর পদ শূন্য রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান মেহেদী হাসান জানান, ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন থাকলেও ৩১ শয্যার যে জনবল কাঠামো থাকা দরকার সেটাই নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি আশা করছি খুব শিগগিরই হয়তোবা এ সমস্যার সমাধান হবে। উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে স্থাপিত হয় ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।