২০২৪ সালের বন্যার রেশ না কাটতেই আবারও জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নোয়াখালী। পাঁচ দিনের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টিতে এ অবস্থা তৈরি হয়। এতে জেলার ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। এ জলাবদ্ধতার জন্য খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা, খালে পানির গতিরোধ করে বাঁধ ও ছোট ছোট কালভার্ট নির্মাণকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বাঁধ কেটে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করার দাবিতে গতকাল জেলার সদর উপজেলার ডাক্তার বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আক্তার হোসেন, হারুন অর রশিদসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও ভুক্তভোগী ২ শতাধিক কৃষক। পরে তারা খাল পরিষ্কার করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা, সদর উপজেলার সোনাপুর-মান্নান নগর-চরজব্বর খালের নোয়াখালী ইউনিয়নের অংশ ডাক্তার বাজার, মান্নান নগর, খলিল মিয়ার দরজা এলাকা, কালিতারা বাজার থেকে সাহেবের হাট খাল, নোয়াখালী মৌজার শাখা খাল, ঠক্কর-খলিলপুর-মুরাদপুর ও মতিপুর এলাকার খালগুলোর বেশির ভাগ জায়গা কিছু অসাধু ব্যক্তি দখল করে বাড়িঘর, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। খালে বাঁধ দেওয়া ও কালর্ভাট নির্মাণ করায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ রোধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে কৃষি জমির সবজি, আউশ ধান ও আমন ধানের বীজতলা ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বক্তারা বলেন, গত বছর ভয়াবহ বন্যার পর খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের একাধিকবার প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যার কারণে মাত্র কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সব ধ্বংস হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন ভুক্তভোগীরা। পরে খাল পরিষ্কার করেন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং ভুক্তভোগী কৃষকরা।