পুরো সড়ক পাকা। মাঝে মাত্র ২৫০ মিটার কাঁচা রাস্তা। যা বর্ষা মৌসুম এলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাচলও অসম্ভব হয়ে যায় এখান দিয়ে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নে রোয়াইর-তাউসারা সড়কের রোয়াইরে এ দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। এটি আশপাশের অন্তত দশ গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র পথ। এর বিকল্প পথে তাদের অতিরিক্ত ঘুরতে হয় কমপক্ষে সাত কিলোমিটার রাস্তা। স্থানীয়রা জানায়, এই সড়ক হয়ে প্রতিদিন জেলা ও উপজেলা শহরে চলাচল করে শত শত মানুষ। এই ভোগান্তি তাদের দীর্ঘদিনের। এ সড়কের দুই পাশে রয়েছে ঘনবসতি। ২৫০ মিটার কাঁচা সড়কের জন্য তাদের প্রায় সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এতে এ দশ গ্রামের জনসাধারণকে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। রোয়াইর গ্রামের ভ্যানচালক রেজুওয়ান হোসেন বলেন, ‘পুরো সড়ক পাকা, মাঝে মাত্র ২৫০ মিটার সড়ক কাঁচা। এই কারণে যাত্রী বা মালামাল নিয়ে সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এতে সময়ও লাগে বেশি, আবার খরচও পড়ে বেশি। সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হই। দিনের বেলায় আর বাড়িতে ফিরে আসতে মন চায় না। দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে ভাড়া নিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।’ নওপাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘কী কারণে এটুকু আর পাকা হচ্ছে না তা কেউ বলতে পারছে না। হচ্ছে, হবে, আজ নয় কাল দেখতে দেখতে অনেক বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু এটুকু আর পাকা হলো না। বর্ষায় যে কষ্ট করতে হয়, তা আর বলে শেষ করা যাবে না।’ রোয়াইর গ্রামের বাসিন্দা ও বড়তারা ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, শুনেছি টেন্ডার হয়েছে। কার্যাদেশ পেলেই ঠিকাদার কাজ শুরু করবে।’
বড়তারা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত রাস্তাটির আইডি সংক্রান্ত জটিলতায় এতদিন কাজ হয়নি। এখন সংশোধন হয়ে কাজের টেন্ডার হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।’ ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ বলেন, ‘এক প্যাকেজে চারটি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। তার মধ্যে এই রাস্তাও আছে। কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বর্ষার কারণে কাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’