ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছুরি মেরে দোকানিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আতুকোড়া গ্রামের বড়হাটি এলাকায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম রহমান মিয়া (২৮)। তিনি ওই গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে ও পেশায় চা বিক্রেতা।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রহমান মিয়া রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। স্ত্রীকে রাতের খাবার প্রস্তুত করতে বলে ঘরের বাইরে টয়লেটে যান। কয়েক মিনিট পর রহমানের চিৎকারে পরিবার ও আশপাশের লোক ছুটে এসে বাড়ির পাশে রাস্তায় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মা রকিলা বেগম বলেন, রাতে বাড়ির পাশে ছেলের চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি ৩-৪ জন তাকে ফেলে দৌড়ে চলে যাচ্ছে। নিহতের ভাই ইমন মিয়া বলেন, রাতে ঘরে মোবাইল নিয়ে কাজ করছিলাম। হঠাৎ ভাইয়ের চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি কয়েকজন ছুরি আর লোহার রড দিয়ে ভাইকে মারতেছে। নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভির আহমেদ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে নিখোঁজের তিন দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় তাসনিয়া খাতুন (১০) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার শালবন গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। তাসনিয়া শালবন গ্রামের এরশাদুল ইসলামের মেয়ে ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় তাসনিয়া। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার রাতে প্রতিবেশী একরামুলের বাড়ির গোয়ালঘরে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। ঘটনা জানাজানি হলে একরামুল পালিয়ে যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। একরামুলের স্ত্রীসহ দুই নারীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ক্ষেতলাল থানার ওসি আ. করিম জানান, ঘটনা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।