আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচারকারীরা। কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে তারা গড়ে তুলেছে আস্তানা। এ কাণ্ডে জড়িত চারটি চক্র। তাদের কাছে রয়েছে একে-৪৭ রাইফেলসহ ভারী অস্ত্রও। দুই মাসে টেকনাফ থেকে আটক করা হয়েছে মানব পাচারকারী চক্রের ৩২ জনকে। উদ্ধার করা হয়েছে ২০৭ রোহিঙ্গাকে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মানব পাচার, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্য বেড়েই চলেছে। বিজিবি পাচারে জড়িত চারটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে। প্রথম চক্রে রয়েছে কচ্ছপিয়া সিন্ডিকেট-১। যাদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার একটি চক্রের সংযোগ রয়েছে। দ্বিতীয় চক্রটি কচ্ছপিয়া সিন্ডিকেট-২ নামে পরিচিত। এরা মূলত স্থানীয় সহযোগী। বড়ইতলী সিন্ডিকেট নামে পরিচিত একটি চক্র রোহিঙ্গা ও বহিরাগতদের সংযোগ স্থাপন করে। চতুর্থ চক্রটি রাজারছড়া পাহাড় গ্রুপ নামে পরিচিত। এরা মূলত সশস্ত্র রোহিঙ্গা সিন্ডিকেট। এসব চক্রের কাছে একে-৪৭ রাইফেল, এ-৩, এ-৪ এর মতো ভারী অস্ত্রশস্ত্রও রয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির টেকনাফ বিচ ক্যাম্প থেকে শুরু হয় অভিযান। মানব পাচার চক্রের গোপন আস্তানা খুঁজে বের করতে ইতঃপূর্বে আটক দুই রোহিঙ্গাকে সঙ্গে নেয় বিজিবি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেরিন ড্রাইভ ধরে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে কচ্ছপিয়া পাহাড়ের গহিনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জঙ্গল এলাকায় একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে বিজিবি। এরপর নারীসহ তিন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। বিজিবির দাবি, জনপ্রতি দুই লাখ টাকা চুক্তিতে তাদের ট্রলারে করে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল চক্রটি। তারা জানায়, আটক ওই বাড়ির মালিকও মানব পাচারকারী দলের সঙ্গে জড়িত। বিজিবি টেকনাফ শহরের আরেকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে আরও ১০ রোহিঙ্গা কিশোরকে। যারা মালয়েশিয়া যাওয়ার আশায় চক্রটির কাছে গিয়েছিল। উদ্ধার কিশোররা জানায়, দুই দিন ধরে তাদের একটি রুমে আটকে রাখা হয়। আটক করা হয় মানব পাচারকারী দুই সদস্যকে। মানব পাচারের প্রক্রিয়া জানতে চাইলে, তারা নিজেদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং একে অপরকে দালাল অভিযুক্ত করে। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, দুই মাসে টেকনাফ সীমান্তে মানব পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে ২০৭ জন। এর মধ্যে ১৯৬ রোহিঙ্গা এবং ৫ স্থানীয়। আটক করা হয়েছে মানব পাচারকারী চক্রের ৩২ জনকে। যার মধ্যে ১৪ জন রোহিঙ্গা। এর আগে টেকনাফের একটি দুর্গম পাহাড়ে মানব পাচার ও অপহরণ চক্রের আস্তানায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে বিভিন্ন সময়ে অপহৃত ও সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য রাখা অন্তত ৮০ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। অভিযানে দুটি দেশীয় এক নলা বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড এমুনিশন উদ্ধার করা হয়। মানব পাচারকারী চক্রটি এখন ভারী অস্ত্রও ব্যবহার করছে এসব অবৈধ কাজে।
শিরোনাম
- অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সুপার পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ
- বরিশালে টাইফয়েড টিকাদানের ২৫ শতাংশ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন
- বাগেরহাটে সুপারি পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
- বড়াইগ্রামে বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত
- মঙ্গলবার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে ইসির সংলাপ
- নতুন উদ্যোগ, এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ছয় দেশ
- হাতকড়াসহ আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২১
- স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি ছাড়াল দুই লাখ টাকা
- মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর
- রেগুলেটর নির্মাণ ও খাল সংস্কারের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ
- যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
- সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই শত ছাড়াল
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি ও ফুচকা জব্দ
- বাবার বিরুদ্ধে নানার মামলা, ১৯ দিন পর স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন
- সার কারখানায় গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিল্পের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- নৌকা উল্টে সাড়ে ভেসে গেল ১২ টন মাছ
- ইয়াবা মামলায় মিয়ানমার নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিক্ষক নিহত