দিনাজপুরের বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরাজীর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। খসে পড়ছে হাসপাতালের ছাদের পলেস্তারা। বিভিন্ন সময় কয়েকজন ভর্তি রোগী আহত হয়েছেন। এতে চিকিৎসক, রোগী ও স্বজনরা থাকেন আতঙ্কে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা করছেন তারা। হাসপাতালের এমন অবস্থা দেখে অনেক রোগী এখানে ভর্তি চান না। আছে চিকিৎসক ও জনবল সংকট। বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা জানান, ইনডোরে মহিলা ওয়ার্ডে একটি ভবনের ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন না। আমরাও নিজেদের খুব অনিরাপদ মনে করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। বিভিন্ন সময় পলেস্তারা খসে পড়ছে রোগীর বিছানায়। এতে কয়েকজন আহতও হয়েছেন। দ্রুত ভবন সংস্কার করা না হলে কিছুদিনের মধ্যে এই ওয়ার্ড পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে।
জানা যায়, বীরগঞ্জ ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে আউটডোরে ৪০০-৪৫০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। গড়ে ভর্তি থাকেন ৪০-৫০ জন। চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র চারজন। বিপুল সংখ্যক রোগীর সেবা দিতে ডাক্তাররা যেমন হিমশিম খাচ্ছেন তেমনি জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ভর্তি হয়ে সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালে অবকাঠামো দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাট এলাকার এক রোগীর স্বজন জোহরা বেগম বলেন, আমার মা এখানে ভর্তি আছেন। হঠাৎ ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছে। মাথায় লাগলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এখন রোগী এখানে রাখতে ভয় পাচ্ছি।
হাসপাতালে ভর্তি মুনিরা বেগম বলেন, আমি পাঁচ দিন ধরে এখানে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসা নিতে এসে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ছাদের পলেস্তারা শরীরের ওপর এসে পড়ছে। বড় আকারের পলেস্তারা মাথায় পড়লে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল ওয়ারেছ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি উপজেলাবাসীর একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। রোগীরাই যদি এখানে নিরাপদ না থাকে তবে মানুষ চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবে? আমরা চাই অবিলম্বে হাসপাতাল ভবনের সংস্কারের ব্যবস্থা করা হোক।