লাভ বেশি হওয়ায় দিনাজপুরে উচ্চ ফলনশীল পেঁপে চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ৩ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল এবং আকর্ষণীয় বাবু ও সুখী জাতের হাইব্রিড পেঁপে চাষ করে চমক দেখিয়েছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পাল্টাপুর ইউপির বাছাড় গ্রামের কৃষক মুসা মিয়া। তার সফলতা দেখে গ্রামের বেকার যুবকসহ অনেকেই এখন ঝুঁকছেন পেঁপে চাষে। এখন সারি সারি গাছে অগণিত পেঁপে ঝুলছে। চারা লাগানোর ৩ থেকে ৪ মাসের মাথায় গাছে ফল আসা শুরু করে। ওজনে পেঁপেগুলো হয়ে থাকে এক থেকে দেড় কেজি।
কৃষক মুসা মিয়া বলেন, এ পেঁপের বাগান তৈরিতে ভাতিজা আশরাফুল ইসলাম ও তার বন্ধু বিপ্লব বিনিয়োগ করেছে। ঢাকা থেকে উন্নত জাতের বাবু ও সুখী পেঁপের চারা এনে ৩ বিঘা জমিতে ৩ হাজার গাছের চারা রোপণ করি। এতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় ২ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছি। বর্তমানে গাছে প্রচুর ফল আছে। এক মাস পর পর বিক্রি করছি। তিনবার বিক্রি করেছি। প্রতিবারই বিভিন্ন খরচ ৫০ হাজার টাকা হলেও বিক্রি করি ১ লাখ টাকার ওপরে। পাকা পেঁপে বিক্রি করলে আরও বেশি লাভ। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম জানান, বাবু ও সুখীসহ সব হাইব্রিড জাতের পেঁপের আবাদ বেড়েছে এ উপজেলায়। হাইব্রিড বাবু চাষ করে কৃষক অল্প সময়ে লাভবান হচ্ছেন। কৃষক মুসা মিয়াকে দেখে এখন অনেক কৃষক পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পেঁপে চাষিদের সব রকম সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কৃষি বিভাগ জানায়, উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড বাবু ও সুখী জাতের পেঁপে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে বপন করতে হয়। অধিক ফলনশীল, আকর্ষণীয়, সামান্য খাঁজযুক্ত এবং ওভাল/লম্বাটে জাত। প্রতিটি ফলের ওজন ১.৫-২.৫ কেজি। শাঁস আকর্ষণীয় হলুদ বর্ণের, অধিক পুরু (৩-৪ সেমি.)। খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি। দীর্ঘদিন ফলন পাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা উভয়ভাবে বাজারজাত করা যায়। এই জাতের পেঁপে পাকা অবস্থায় সহজে নষ্ট হয় না। ফলে দূরদূরান্তে সহজেই বাজারজাত করা যায়। ভাইরাস রোগ সহনশীল। জীবনকাল দুই বছরের অধিক।