পিরোজপুর সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামে স্ত্রীসহ দু'জনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম কিবরিয়া।
২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাদুরা গ্রামের বাসিন্দা গৌতম তার স্ত্রী সীমা রানী (৩০) ও চাচী শেফালি রানীকে (৫০) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় সীমা রানীর বাবা ক্ষিতিশ চন্দ্র ভক্ত বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঘটনার দিন তার জামাতা গৌতম রায় বাদুরা বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়িতে এসে তা স্ত্রীকে কাটতে বলে। সীমা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় স্বামীকে বলে যে, হাতের কাজ শেষ করে সে মাছ কাটবে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গৌতম দৌড়ে ঘরে ঢুকে দা এনে উঠানে এসে সীমার গলায় কোপ দেয় এবং তার চুলের মুঠি ধরে জবাই করে হত্যা করে।
এ ঘটনা দেখে গৌতমের চাচী শেফালী ও চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী শিউলী পাশের ঘরে বসে চিৎকার করলে গৌতম দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। প্রতিবেশীরা শেফালী ও শিউলীকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেফালীকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই ঘাতক গৌতমকে পুলিশ আটক করে।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরের বছর ২০১২সালের ১ মে আদালতে গৌতমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর সোমবার (২৮ মার্চ ২০১৬) গৌতমকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, পিপি এডভোকেট খান মো. আলাউদ্দিন।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ