বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঝড়ে বিধ্বস্ত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে অসহনীয় রৌদ্রতাপের মধ্যে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় ১৪৯ নং এবি বাশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবনটি। আজ বুধবার শিক্ষার্থীরা স্কুলে গেলে বিধ্বস্ত ভবনের ফাঁকা স্থানেই শিশুদেরকে বসিয়ে পাঠদান করা হয়। চৈত্রের প্রচণ্ড রৌদ্রতাপে ফাঁকা মাঠে ক্লাশ নেওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। খবর শুনে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মামুনুর রহমান আজ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খানম বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সভাপতি মো. আশরাফ আলী শেখ ও ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ১ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর একটি অস্থায়ী টিনশেড ভবন নির্মাণ করে সেখানে ক্লাশ নেওয়া হচ্ছিল। ওই ঘরটিও ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন অভিভাবকরা ছেলে মেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাচ্ছে না। বিদ্যালয়টির প্রতি কর্তৃপক্ষের কোনই সুনজর নেই বলেও অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/৬ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ