মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামে জামাতার দেওয়া আগুনে গুরুতর দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ফুলসুরাতন (৬০) নামের এক বৃদ্ধা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারটার দিকে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার জামাই হাউস আলী পেট্রল ঢেলে তার গায়ে আগুন দেয় বলে জানা গেছে। বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ফুলসুরাতন। আহত ফুলসুরাতন সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আবু বক্করের স্ত্রী।
আহতের পরিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফুলসুরাতনের মেয়ে মাটিকাটা শ্রমিক আম্বিয়া বেগমের সঙ্গে অপর মাটিকাটা শ্রমিক হাউস আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে যৌতুক এনে দিতে হয়েছে হাউসকে। আবারও টাকা দাবি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ২১ দিন আগে আম্বিয়া বেগম হাউস আলীকে তালাক দিয়ে মায়ের বাড়িতে ফিরে যায়। গতরাত সাড়ে বারটার দিকে ফুলসুরাতন বেগম নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকার সময় তাকে আম্বিয়া বেগম মনে করে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় হাউস। এ সময় আম্বিয়া বাড়িতে ছিলেন না। পরে প্রতিবেশীরা তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রোগীর জীবন সংকটাপন্ন। শরীরের ৮০ ভাগ আগুনে ঝলসে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হলেও অর্থাভাবে নিয়ে যেতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, অভিযুক্ত হাউসকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ