সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আব্দুল মান্নান (২৩) নামের এক ঘের কর্মচারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাজু হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, সাজুকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক তানভির হোসেন, পুলিশ সদস্য কমলেশ ও অহিদুল ইসলাম এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়দেব সাহা আহত হয়েছেন। তাদেরকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আনিসুর সরদারের একটি শিশু বাগানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
আটক সাজু হোসেন বসন্তপুর গ্রামের শের আলীর ছেলে।
অন্যদিকে, নিহত ঘের কর্মচারী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার দত্তকোনা গ্রামের ইসমাইল গাজীর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, কেশবপুর উপজেলার পাজিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে কলারোয়া উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় একটি মাছের ঘের করে আসছিল। আব্দুল মান্নান গাজী ওই ঘেরের কর্মচারী। ঘটনার সময় আব্দুল মান্নান মৎস্য ঘেরের পাশে একটি শিশু বাগানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সুযোগ বুঝে সাজু হোসেন পিছন থেকে দা দিয়ে মান্নানকে কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলে। এ সময় মান্নানের সাথে থাকা তার স্ত্রীর চিৎকার দিলে সাজু পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পাশ্ববর্তী খোর্দ্দ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এগিয়ে আসলে সাজু তাদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তায় পুলিশ দাসহ সাজু হোসেনকে আটক করে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মোহাম্মদ করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটক সাজু হোসেনকে থানায় পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে হত্যার প্রকৃত কারণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আটককৃত সাজু হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি মামলায় সাতক্ষীরা কারাগারে আটক ছিলেন। সম্প্রতি সে জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্তি পায়।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ মে, ২০১৬/মাহবুব