জেলার গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়ী গ্রামের শাশুড়ি ফুলসুরাতন (৬৫)-কে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে জামাই হাউসকে আসামি করে গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার রাতে নিহত ফুলসুরােনের ছোট মেয়ে আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে তার স্বামী হাউসের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে। গাংনী থানায় মামলা না ০৬- তারিখ ০৮-০৫-১৬ ইং।
রবিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাইয়ের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে শাশুড়ি ফুলসুরাতন মারা যায়। পরে হাসপাতাল থেকে গাংনী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নেয়।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের ছোট মেয়ে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ সোমবার নিহত ফুলসুরাতনের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের হাতে তার মরাদেহ তুলে দেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক জামাই হাউস পালাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধীক দল মাঠে নেমেছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল ফুলসুরাতন বেগম নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকার সময় তাকে আম্বিয়া বেগম মনে করে শরীরের পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তার জামাই হাউস। এ সময় আম্বিয়া বাড়িতে ছিলেন না। পরে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ মে, ২০১৬/ আফরোজ