সাভার উপেজলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র ছিনতাইকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাভার উপজেলা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকেই সাভার উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান, সাধারন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু করেন। পরে দুপুর ২টার দিকে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা তাকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে নিষেধ করলে এমদাদুল হকের পক্ষ নেওয়া সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারের লোকজনের সাথে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা এমদাদুল হকের মনোনয়ন পত্রটি ছিনিয়ে নেয়।
এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এ ঘটনায় পুরো উপজেলা চত্ত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের উপস্থিত লোকজন এসময় ছোটাছুটি শুরু করে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া জন্য আসে। এসময় তাদের বাধা দিলে সংষর্ঘ বাধে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় উপজেলা চত্ত্বর ও এর আশেপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলা ও এর আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ মে, ২০১৬/ হিমেল-২৫