নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্বামীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত বাদল মিয়া বন্দরের মদনপুর চাঁনপুর এলাকার মৃত পান্ডব আলীর ছেলে। সে তিন সন্তানের জনক।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠিয়েছেন। লাশের গলায় হাতের আঙ্গুলের ছাপের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিহত বাদল মিয়ার মা জানান, তার ছেলের বৌ জিয়াসমিনের সঙ্গে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের দালাল মজিবরের পরকীয়া প্রেম ছিল। এ নিয়ে বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হতো। পরকীয়া বাধা দেয়ার কারণে তার অসুস্থ্য ছেলেকে গলাটিপে হত্যা করেছে স্ত্রী জিয়াসমিন।
এ ব্যাপারে ৩ সন্তানের জননী জিয়াসমীন জানান, তার সঙ্গে মজিবরের সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যে মোবাইলে কথা হতো। এর বেশী কিছু নয়। গত রাতে অসুস্থতার কারণে তার স্বামী বাদল মারা গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
পরকিয়া প্রেমিক মজিবরের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, তার স্বামী মজিবর একটি বৈদ্যুতিক মিটার দিতে এসে বাদলের স্ত্রী জিয়াসমীনের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। তার স্বামী মদনপুর পল্লী বিদ্যুত অফিসে চাকরির সুযোগে জিয়াসমিনের বাড়িতে দুপুরে খাবার খেত। এতে করে তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হয়ে উঠে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জিয়াসমিন ও মজিবর বাইসটেঙ্গি এলাকার কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে। তাদের কাবিন বই নং ১১/১৪ পৃষ্ঠা নং ৪২। বাদল মারা গেছে শুনে তার স্বামী মজিবর পালিয়ে গেছে। এ দিকে স্বামী মারা যাওয়ার ঘটনার পর থেকে জিয়াসমিনের মধ্যে কোন শোক দেখা যায়নি। সে স্বাভাবিক ভাবে সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন