ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ও উপকূলীয় কোম্পানীগঞ্জ ও র্স্ণুচরের ২৮টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ো বাতাসে ভেঙে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ি। শনিবারের এ ঝড়ে নিহত হয়েছে ৩ জন।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪/৫ ফিট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় উপকূলীয় হাতিয়ার সোনাদিয়া, নলচিরা ও নিঝুমদ্বীপসহ নিম্মাঞ্চলের ৩টি বেড়ি বাঁধ ভেঙে গেছে। তলিয়ে গেছে প্রায় শতাধিক গ্রাম।
এদিকে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোম্পানীগঞ্জ তার নির্বাচনী ক্ষতিগ্রস্ত এ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সামান্য শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
জরুরী ভিত্তিতে খাবার, সুপেয় পানি, থাকার ঘর ও বেড়ি বাঁধ সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রান কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হলেও সেটি প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম বলে অভিযোগ করেছেন তারা। লবনাক্ত পানির কারনে ইতোমধ্যে পানি বাহিত রোগবালাই দেখা দিয়েছে সেখানে।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু'র সময় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকারীরা জানায়, তারা গবাদি পুশু ও মালামালসহ ঘরবাড়ী রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছে কিন্তু ফিরে এসে পেয়েছে বিধ্বস্থ ঘরবাড়ি।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মো: মঈনুদ্দিন বলেন, আগাম সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা নেয়ায় প্রাণহানি কম হলেও আশ্রিত মানুষের বসত ঘর, গোবাদি পশু ও হাস মুরগিসহ মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষগুলোকে শুকনো খাবার, খিচুড়ি দেয়া হচ্ছে। তবে পূনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লেখা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুব্রত কুমার দে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ টাকা নগদ টাকা ও ৮ মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো ত্রান দেয়া হবে। তবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপনে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলো কজ করছে। এটি সম্পন্ন হলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/ ২৩ মে ২০১৬/ হিমেল-১৯