রৌমারী থেকে জামালপুর সংযোগ পর্যন্ত সড়কপথের দূরত্ব মাত্র ১৯ কিলোমিটার। আর এই পথটুকু পাড়ি দিতে বাস-ট্রাকের লেগে যায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময়। পুরো সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। কখনো উল্টে যায় মালবোঝাই পিক-আপ, মিনি ট্রাক বা যাত্রীবোঝাই বাস। সড়কের এমন দুরাবস্থার কারণে কুড়িগ্রামের সাধারণ মানুষ আসন্ন ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অধীন সড়কটির এমন বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার আবেদন জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানতে চাইলে কর্তিমারী বাজারের সিয়াম বাস কাউন্টারের মাস্টার আমজাদ হোসেন বলেন, ''একটা বাস অথবা ট্রাক আরেকটা গাড়িকে সাইট দিতে ৩০ মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রায়ই বাস, ট্রাক গর্তে আটকে যায়, নয়তো উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। যদি একবার ট্রাক উল্টে যায় তাহলে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে।''
স্থানীয় ভটভটি চালক ছক্কু মিয়া বলেন, ''একটু ভালো কইরা লেইখ্যা সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেররে কইয়েন আমগর সড়কের দুরবস্থার কথা।''
রৌমারীর রিফাত পরিবহনের ড্রাইভার আসলাম আলী বলেন, ''জামালপুর থেকে কুড়িগ্রামের সীমানায় প্রবেশ করা মানে মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়ে চলা। এবার ঈদে যে কী অবস্থা দাঁড়ায়, তা আল্লাহ জানেন। ঈদের আগে ও পরে এ সড়ক পাড়ি দিতে দিন শেষ হবে।''
অন্য একজন ড্রাইভার মজিবুর রহমান বলেন, ''সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যদি এই সড়কের দুরাবস্থা দেখতেন তাহলে সড়ক বিভাগের অনেক কর্মকর্তার চাকরি থাকত না। আমরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।''
কুড়িগ্রামের সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান জানান, রৌমারীর ওই সড়ক সংস্কারের জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। যা গত ১০ মার্চ দরপত্র আহ্বান করার পর এখন দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলছে। তবে ঈদের আগে সড়কে জোড়াতালি দিয়ে যান চলাচলের কিছুটা উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ