দিনাজপুরে লাইফ পাচিং হিসেবে কৃষকপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফলন সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব আফ্রিকান ধৈঞ্চা গাছ। ক্ষেতের পোকামাকড় তাড়াতে এক সময় ক্ষেতের মধ্যে পাখি বসার স্থান হিসেবে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করা হলেও এখন সব জমিতে লাগানো হচ্ছে জীবন্ত ধৈঞ্চা গাছ। যা লাইফ-পাচিং হিসেবে পরিচিত।
কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, পরিবেশ বান্ধব ধৈঞ্চা গাছে পাখি বসে ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় ধরে খায়। অপর দিকে গাছের ঝরে পড়া পাতা জৈব সার হিসেবে ক্ষেতের উপকারসহ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে কৃষকরা। এ কারণে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাচিং এর ব্যবহার।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, ধান ক্ষেতে সবুজের মাঝে ধৈঞ্চা গাছের হলুদ ফুলের সমারোহ প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য অনেক খানি বাড়িয়ে দেয়। ধৈঞ্চা গাছের হলুদ ফুল শুধু শোভা বর্ধনের জন্যই নয় বরং হলুদ ফুলে আকৃষ্ট হয়ে উপকারি পোকা আসে ধান ক্ষেতে। রোপা লাগানো কালে একই সাথে ধৈঞ্চা গাছের চারা লাগানো হয় জমিতে। ধান গাছের চেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠে ধৈঞ্চা গাছ। ধৈঞ্চ গাছে ফিঙ্গে, শালিক ও বুলবুলিসহ নানা ধরনের উপকারি পাখী বসার ফলে ক্ষতিকর পোকা দমন হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার