কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় মৃত রেজিয়া খাতুন নামের এক দুস্থের বরাদ্দকৃত ১১ মাসের চাল আত্মসাতের ঘটনায় তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন ভার্সনে খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম সরেজমিনে ওই ইউনিয়নে উপস্থিত হয়ে অভিযোগকারি এবং অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শামসুল হক ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শ্যামল চন্দ্র বর্মনের বক্তব্য গ্রহণ করেন। এতে মৃত দুস্থ রেজিয়া খাতুনের নামে বরাদ্দকৃত ২০১৫ এর জুলাই থেকে চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১৬ মাসের মধ্যে ১১ মাসের চাল ভুয়া স্বাক্ষরে উত্তোলন করা হয়। দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব ওই দুস্থের নামে ৩৩০ কেজি চাল আত্সাৎ করেছে বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শ্যামল চন্দ্র বর্মন ও ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘এটি ভুলবশত হয়েছে। আমরা ওই দুস্থের ১১ মাসের চাল বাজার থেকে কিনে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
তদন্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমি সে হিসেবেই তদন্ত প্রতিবেদন দিব।’
উল্লেখ্য, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডভুক্ত চরগয়টা পাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন মন্ডলের স্ত্রী রেজিয়া খাতুনের নামে গত ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ভিজিডি কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয় যার কার্ড নং-২৪০ এবং মাষ্টার রোলের ক্রমিক নং-১৫৭। রেজিয়া খাতুনের মৃত্যুর পর তার নামের বরাদ্দকৃত ভিজিডির চাল ভুয়া স্বাক্ষরে উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান এবং সচিব। বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর মৃত দুস্থ রেজিয়া খাতুনের ভাই মোকছেদ আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/১৬ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল