ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের সামনে রবিবার দুপুরে আবারও ইউনুছ আলী (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে তিন বখাটে। এ ঘটনায় হিল্লোল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক আহাম্মেদ বলেন, দুপুরে ভুটিয়ারগাতি গ্রামের গোলাম হায়দারের ছেলে হিমেল এবং তার দুই সহযোগী আমার কাছে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকার কপি দাবি করে এবং বলে যে, ইউনুস আলী কীভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান পেল? আমার বাবার নাম কেন তালিকায় স্থান পেল না? আমি তাকে তালিকার কপি দিতে অস্বীকার করলে বাইরে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ করে মুক্তিযোদ্ধা অফিসের ভিতর থেকে হিমেল, তাসের ও আহাম্মদের ছেলে ইনতাজ আলী বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু করে।
মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলীর আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলীকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় হিমেলের বড় ভাই হিল্লোলকে আটক করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হিল্লোল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, এলজিইডির টেন্ডারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন মৃধাকে প্রতিপক্ষ শৈলকুপা আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। বিষয়টি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে এবং ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপর কয়েকজনকে দল থেকে বহিস্কার করা হলেও বাকিদের বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় আরেক মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলায় ঘটনায় ঝিনাইদহব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ