মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এবং ফেরীঘাটে বেপরোয়া চাঁদাবাজী বন্ধ, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সাইড এঙ্গেল, বাম্পার ও হুক অপসারণ সিদ্ধান্ত বাতিল, পুলিশের হয়রানী বন্ধ, ব্রিজের টোল কমানোসহ ১২ দফা দাবিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনেই ভোগ্যপণ্য সংকটের আশংকা দেখা দিয়েছে বরিশালে।
ধর্মঘটের ফলে ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যানসহ সকল পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বরিশালে খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যের মজুদ কমে যাচ্ছে। ধর্মঘট চলতে থাকলে বরিশালে বড় ধরণের খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য সংকট সৃষ্টির আশংকা করেছেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু। তিনি পণ্যবাহী পরিবহনের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে সরকারকে সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে সোমবার সকালে নগরীর বান্দ রোডের আঞ্চলিক কর ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। একই সাথে তারা সড়ক-মহাসড়কে পন্যবাহী পরিবহন চলাচলে বাঁধা দেন।
বরিশাল বিভাগীয় পন্য পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ঈমান আলী শরীফ বাবুল বলেন, ১২ দফা দাবিতে তারা সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি। এ কারনে তারা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পন্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট তারা চালিয়ে যাবেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ