বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গৃহিনী কমলা বেগমকে হত্যার বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী শিশুপুত্র আজিজজুল ইসলাম(৮)। থানা পুলিশের সামনে কাঁদতে কাঁদতে আজিজুল বলেন, ‘আমার সামনেই মা’কে পিটিয়ে মেরে ফেলেন বড় চাচা। আমার মা কমলা বেগম ও বাবা খলিললুর রহমান বেড়া দিচ্ছিলেন। হঠাৎ লাঠি নিয়ে বড় চাচা(মন্টু) এসে মারপিট শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে দেখি মা আর কথা বলে না। মাথা থেকে রক্ত নেমে সমস্ত শরীর ভিজে গেছে তার। পাশের একটি ডোবায় পড়ে আছেন বাবা(খলিল তালুকদার)। তার মাথা থেকেও রক্ত ঝরছে। এরপরে হাসপাতালে বসে জানতে পারি মা আর বেঁচে নেই’। কমলা বেগমের অপর সন্তান কলি বেগম(১৯) বলেন, ওরা আমাদেরকেও মেরে ফেলবে।
বুধবার শনিরঝোড় গ্রামের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের পিতা মেনাজ উদ্দিন হাওলাদার বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলার একমাত্র আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে মন্টু তালুদারকে (৪৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, কমলা বেগম হত্যায় অভিযুক্ত মন্টুকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মন্টুর বিরুদ্ধে এই ঘটনাটি ছাড়াও হত্যা, ডাকাতি ও গণধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব