বাগেরহাটের চিতলমারীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিয়ে বাড়ির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নারীসহ অন্তত ১৫ জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এসময় তারা বসত বাড়ি, বিয়ের প্যান্ডেল ভাংচুর করে। আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চিংগুড়ি গ্রামের শেখ ইদ্রিস আলী বাড়িতে এই হামলার ঘটনায় ভন্ডুল হরয় গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান। হামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি আহতদের মধ্যে রয়েছে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চিংগুড়ি গ্রামের শেখ ইদ্রিস আলী (৬০), মছিরণ নেছা (৪০), রফিক শেখ (৩৫), ইয়াহিয়া শেখ (৩৫), বিলকিস বেগম (২৮), জাহিদ শেখ (২০), আশরাফ শেখ (৫০), সুলতানা পারভিন (৫০)। আহতরা সকলেই ইদ্রিস শেখের আত্মীয়।
কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা ইদ্রিস শেখ অভিযোগ করেন, পাশ্ববর্তি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় তার কন্যা সুফনের বিয়ে ঠিক হয়। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ছেলে পক্ষের লোকজন গায়ে হলুদ দিতে তার বাসায় আসার কথাছিল। কিন্ত বেলা বারোটার দিকে ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ শেখের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে তার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। হামালায় তার নিকট আত্মীয় স্বজনদের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরে তারা বিয়ের অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ঘরবাড়ি ভাংচুর করে এবং অতিথিদের জন্য রান্না করা খাবার ফেলে কেটে পড়ে। পরে গায় হলুদ ও বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
কলাতলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ শেখ বাড়িতে তার নেতৃত্বে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন বড়বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই মো: গোলাম নবী তাকে এক আসামী ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে তিনি তার বাবাকে পুলিশের সাথে উক্ত আসামীর বাড়ি সনাক্ত করতে পাঠান, এসময় ইদ্রিস শেখের লোকজন তার বাবাকে উল্টো মারধর করে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ইদ্রিস শেখের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহাগের বিরোধ রয়েছে। সেই পূর্ব বিরোধের জের ধরে ইদ্রিস শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের চিতলমারী হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘাত এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
