বাগেরহাট সরকারি নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে রাবেয়া (১৫) নামে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। দুপুরে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে শিশুটিকে সরুই সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
২০১৪ সালে আদালতের নির্দেশে রাবেয়া নামে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এই শিশুকে সমাজসেবা অধিদপ্তর গ্রহণ করে। সেই থেকে শিশুটি বাগেরহাট শহরের দশানি নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে ছিল। গত দুই বছরে তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি সমাজসেবা অধিদপ্তর।
বাগেরহাট সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মঞ্জুরুল এলাহী বলেন, গত ১৯ মার্চ সকাল এগারোটার দিকে হঠাৎ করে রাবেয়ার পেটে ব্যথা শুরু হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এখানে আসার পর শিশুটির পরিচয় উদ্ধার করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেউ তার সন্ধানে এখানে আসেনি। যার কারনে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে শিশুটিকে সরুই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বাগেরহাটের আবাসন কেন্দ্রে বর্তমানে দুই থেকে আট বছর ধরে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও অন্তত ৩০ জন শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু ও নারী অবস্থান করছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অরুণ কুমার মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, শিশুটিকে ভর্তি করার পর তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় শিশুটির কিডনি রোগ শনাক্ত হয়। শিশুটি শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে তার সমস্যা খুলে বলতে পারেনি। যার কারনে সময়মত তার চিকিৎসা করা যায়নি। সুচিকিৎসার অভাবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ