কুমিল্লার দাউদকান্দি জেলার গৌরীপুর নিউ মার্কেটে শফিকুল ইসলাম নামের এক নৈশপ্রহরীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ওই মামলায় গ্রেফতার করা আসামি জাহিদ হাসান ওরফে বাবু তার ২ সহযোগীকে নিয়ে ওই নৈশপ্রহরীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা এবং পরে নিহতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার বর্ণনা দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি হয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুরুল আফছার ওই ঘাতকের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। ঘাতক জাহিদ হাসান বাবু জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দইয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ।
ডিবি পুলিশ, মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্র জানায়, গত ১১ মার্চ গভীর রাতে গ্রেফতার করা জাহিদ হাসান বাবু তার ২ সহযোগী নিয়ে গৌরীপুর নিউ মার্কেটের নৈশ প্রহরী এবং দাউদকান্দি উপজেলার পশ্চিম হুগুলিয়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলামের নাকে-মুখে কস্টেপ পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা হাতুড়ি ও বাটাল দ্বারা ওই মার্কেটের রিফা টেলিকম নামের একটি মোবাইল দোকানের সার্টার কেটে দোকান থেকে ৩৫টি মোবাইল সেট এবং দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ৬০ হাজার লুটে নেয়। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় ঘাতক বাবু ও তার সহযোগীরা নিহতের ২ হাত শরীরের সাথে কাপড় ও কস্টেপ দিয়ে পেচিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় পর দিন নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গোয়েন্দা শাখায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ জানান, দোকান থেকে লুটে নেয়া মোবাইল সেট থেকে ঘাতক জাহিদকে ২টি সেট দেয়া হয়, ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই গত বুধবার বিকালে দাউদকান্দির গৌরিপুর সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার নিকট থেকে লুটে নেয়া ২টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
এদিকে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে ঘাতক জাহিদ বাবু ঘটনার সাথে জড়িত অপর ২ সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছে, তাদের গ্রেফতারেও ডিবি অভিযান চালাচ্ছে।