বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় চতুর্থ দিনে আরও ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারি হিসেব মতে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২ জন। উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে পানগুছি নদীর বারইখালী এলাকার চর থেকে নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ওই ৩টি লাশ উদ্ধার করে। তারা হলেন, মোরেলগঞ্জের চিংড়াখালী গ্রামের বশির উদ্দিন শেখের স্ত্রী লাবনী আক্তার (১৮), শরণখোলা উপজেলার খেজুয়াকান্দা গ্রামের পুশিল কন্সটেবল জাহিদুর রহমানের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩২) ও পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালুপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী নাসরীন বেগম (২৮)।
।উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নৌবাহিনীর কমান্ডার শাহরিয়ার আকন বলেন, "পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধার করতে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী গত চারদিন ধরে একটানা অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে পানগুছি নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান অবস্থায় তিন নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি নিখোঁজ ২জনের লাশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের স্বজনরা লাশ ৩টি সনাক্ত করেছে।"
উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকাল ১১টায় খেয়া পারাপারের সময় ৮০ অধিক অতিরিক্ত যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে ডুবি যায় । ওই সময় স্থানীয়রা নদী থেকে অন্তত ত্রিশ জনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন। ট্রলারটি যাত্রী নিয়ে ছোলমবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে পুরাতন থানাঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। পুলিশ, দমকল বিভাগ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সাথে নিয়ে নদীতে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১০