রাজশাহীর বাঘায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের জঙ্গি বিরোধী সমাবেশে হামলা চালিয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুইপক্ষের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পণ্ড হয়ে যায় ওই সমাবেশ। সমাবেশের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলা শিকার হন নিউজ টোয়েন্টিফোরের কর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের ব্যানারে উপজেলা সদরের তেঁতুলতলায় জঙ্গি বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। একই সময় মাত্র ৩০০ গজ দূরে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জঙ্গি বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করেন যুবলীগের নেতারা। সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সমাবেশে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল দলটির জেলার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তবে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর আগেই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তিনি সমাবেশে যোগ না দিয়ে ফিরে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টুসহ প্রায় ৪০০ নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলমের সমর্থক যুবলীগের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে তাদের লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়। হামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিপ্পন, সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেশ আলী, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক শাহিনুর আলম শাহিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর আলম পিন্টু নেতৃত্ব দেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রোকনুজ্জামান রিন্টু বলেন, দেশব্যাপী জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বাদ দিয়ে ওই সমাবেশ করা হচ্ছে-এমন অভিযোগে এমপির সমর্থকরা সেখানে হামলা চালিয়েছেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, ‘দুই গ্রুপের একটু সমস্যা হয়েছিল। সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।’
উল্লেখ্য, দুই পক্ষের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই বাঘায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রনেতাদের সমাবেশের প্রচার মাইকের গাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে। বাঘা স্ট্যান্ড এলাকার ওই হামলার সঙ্গে যুবলীগের নেতারা জড়িত বলে দাবি করেছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৭/হিমেল