বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার আত্মহননকারী ওসি আ ন ম আবদুল্লাহ আল হাসানের সাবেক স্ত্রী রুমানা আকতার মিতুকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের আশায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৫ দিনের রিমান্ড চান। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ ব্যাপারে আগামী রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
জানা যায়, গত ২৯ মার্চ সকালে বগুড়ার গাবতলী থানা কোয়ার্টারে থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হাসান ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর আগে তিনি ডিউটি অফিসারের কাছে প্রথম স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা রোজীকে দেওয়ার জন্য একটি চিঠি ও চাবি দিয়ে যান। ওইদিন রাতে রোজী গাবতলী থানায় তার স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সাবেক স্ত্রী মিতুসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৩০ মার্চ রাতে পুলিশ পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার বাসা থেকে মিতু ও তার বাবা মোকসেদ আলীকে গ্রেফতার করে বগুড়ায় নিয়ে আসে। ৩১ মার্চ দু’জনকে আদালতে হাজির করা হয়। মিতুর ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৫ দিনের মঞ্জুর করেন এবং তার বাবাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে আরো ৫ দিনের রিমান্ড এর আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ ব্যাপারে আগামী রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
বগুড়ার গাবতলী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিন মিতুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তথ্য পেতে আবার ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেছে বিজ্ঞ আদালত।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রয়াত ওসি আ ন ম আবদুল্লাহ আল হাসানের আত্মহনন মামলার আসামী রুমানা আকতার মিতুকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন