পাওনা টাকার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহায় গৃহবধূর গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গরুটি নিয়ে যাওয়ার পর ওই গৃহবধূ বিচার চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন। গেল বুধবার সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কুজিশহর গ্রামের বাসিন্দা জেসমিন বেগম নামে গৃহবধূর গরুটি নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের লোকজন।
জানা যায়, কয়েক বছর আগে অভাবে পড়ে প্রতিবেশী আজাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নেয় গৃহবধূ জেসমিন। যা পরিশোধের কথা ২০ শতাংশ সুদসহ। সুদে আসলে ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও প্রতিবেশী আজাদ আরো ২৩ হাজার টাকা দাবি করে। আর এরই জেরে আজাদ চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিলে চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু লোক পাঠিয়ে তিনটি গরু তুলে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা বলে অভিযোগ গৃহবধূর।
জেসমিন বেগম জানান, “চেয়ারম্যান সুদখোর লোকজনের পক্ষ নিয়ে বিচারের নামে আমার উপর নিপীড়ন চালাচ্ছেন। টাকা পরিশোধের পরও শতকরা ২০ টাকা হারে আমার কাছ থেকে সুদ আদায় করার চেষ্টা চালাচ্ছে এখনো। তাইতো চেয়ারম্যান আমার কথা আমলে না নিয়ে গ্রাম্য সুদখোরদের কথায় আমার বাড়ি থেকে গরু ধরে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার রুহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু বলেন, জেসমিন ওই এলাকার আজাদ, আজিজুল, আলম, খালেক ও আশরাফুল নামে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। কিন্তু পরিশোধ না করায় রুহিয়া ইউনিয়নের গ্রাম্য আদালতে বিচার হয়। বিচারে ঋণ গ্রহীতাকে টাকা পরিশোধের রায় দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি টাকা পরিশোধ না করায় মালামাল ক্রোকের অংশ হিসেবে তার তিনটি গরু আটক করা হয়েছে। তবে টাকা পরিশোধ করলে গরু ফেরত পাবে। আর টাকা না দিলে গরু বিক্রি করে অভিযোগকারীদের টাকা পরিশোধ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ