আশুলিয়ার কুরগাঁও আবাসিক ডে-কেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে নিজ কক্ষের আলমারীর ভেতরে হাত-পা ও মুখ বেধেঁ মুঠোফোনে তার ভিডিও চিত্রও ধারন করে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা, আমজাদুল হক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা জন্য পাঠানো নির্দেশ দেয়।
ধর্ষিতার বাবা লিটন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন আমার মেয়ের ধর্ষনের কথা থানার জানালে বা কাউকে বললে ধষনের ভিডিও চিত্রটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হুমকি দেয়। এর পর এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরলে পুলিশ তাকে কুরগাও থেকে গ্রেফতার করে ।
জানা গেছে, ধর্ষনের পর স্কুল ছাত্রীকে স্কুলে প্রধান শিক্ষক তার নিজ কক্ষের আলমারীর ভেতরে হাত-পা ও মুখ বেধে আটকে রাখে। দুপুরের দিকে মেয়ের মা স্কুলে এসে কক্ষের ভেতরে আলমারী থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। এদিকে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বেশ কিছু নেতাকর্মী বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এলাকাবাসির অভিযোগ, নিজেদের কাজে সুবিধার জন্য গত জানুয়ারী মাসে কুরগাঁও এলাকার আমির হোসেনের ডে-কেয়ারে তাদের সন্তানদের ভর্তি করান তারা। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আমির ডে-কেয়ারটির শিশুদের নানা ভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিল। সর্বশেষ গতকাল নয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষন করে সে।
পরে ঐ শিশু ব্যাপারটি তার মাকে জানালে পরবর্তীতে বাকী ছয় শিশুর যৌন হয়রানির ঘটনার প্রমাণ পান তারা। এদিকে ধর্ষন এবং ভিডিও চিত্র ধারনের বিষয়টি এলাকায় প্রচার হওয়ায় বর্তমানে বিষয়টি ওপেন সিক্রেটে পরিনত হয়েছে। ফলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, নারী সংগঠন ও সংবাদ কর্মীদের আনাগোনায় ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা চরম আতঙ্কে রয়েছে বলেও জানা গেছে।
এব্যাপারে আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মোবাইলে ফোনে ভিডিও চিত্র ও ফুটেজ উদ্ধারে জন্য কাজ করছি , আমিন মডেল স্কুল নামে ঐ ডে-কেয়ারটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক আমির হোসেনকে বিভিন্ন এলাকার অভিযান চালিয়ে কুরগাও থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আর ধর্ষিতা শিশুটিকে পুলিশ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এদিকে এই ঘটনার মোবাইলে ফোনে ভিডিও চিত্র ও ফুটেজ উদ্ধারে জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনা আশুলিয়ার একটি মামলা দায়ের করা হয় মামলা নং ১৬ ।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৫