বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থানকারী বৈধ-অবৈধ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে নোয়াখালী ঠেঙ্গাচরে পুনর্বাসন করা হবে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ঠেঙ্গারচরে অবস্থান করবে।
শনিবার বেলা ১২টায় কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেসব রোহিঙ্গারা ভুয়া তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ গ্রহন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্র ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সকাল ১১টায় মন্ত্রী গাড়িযোগে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে এসে পৌঁছান। মন্ত্রী রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে অবস্থানকারী শরণার্থীদের খোঁজ নেন। বেলায় সাড়ে ১২টায় ক্যাম্প ত্যাগ করেন মন্ত্রী। এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন, কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ শামসুদ্দোজা, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়েরসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কতা-ব্যক্তি, স্থানীয় প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
উল্লেখ্য, আশি ও নব্বই দশকে দুই দফায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে। দু'দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলেও অধিকাংশ রোহিঙ্গা রয়ে যায় এ দেশে। এরমধ্যে বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফে রেজিস্টার্ড ৩৭ হাজার ছাড়াও নতুন করে অনুপ্রবেশকারী প্রায় ৯০ হাজার এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে আরও প্রায় দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/৮ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা