কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোবারক নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোক। নিহত মোবারক রসুলপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িঘর।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রসুলপুর গ্রামের ফজলুর রহমান মাস্টার এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান একই গ্রামের আবু বকরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে আজ শনিবার দুপুরে উভয় পক্ষের কয়েকশ লোক দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পার্শ্ববর্তী মৌটুপী, সাদেকপুর, ভবানীপুর ও মেন্দিপুর গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে যোগ দেয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। মোবারককে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার