যাত্রীবাহী বাসে ভাংচুর ও চালককে মারধরের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বাস ধর্মঘট পালন করেছে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। শনিবার সকাল থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান সড়কে সকল যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে শহরে বাস ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বাস শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্র জানা গেছে, গত শুক্রবার কুতুকছড়ি ইউনিয়নে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে গাছ ফেলে যার নং (রাঙামাটি-জ-৩০৭১) বাস থামিয়ে একদল উপজাতি সন্ত্রাসী চালক শাহাদাৎ হোসেন ও সহকারী আরমানকে ব্যাপক মারধর করে। এছাড়া বাসটিও বেপক ভাংচুর করে। এসময় বাস আটক করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয় এবং ভয় দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে বাস চালক শাহাদাৎ হোসেন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাঙামাটি থেকে পুলিশের কর্মকর্তা ও চালক সমিতির নেতৃবৃন্দরা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু এ আগে দূবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম-বান্দরবানসহ সকল সড়কে বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এদিকে রবিবার নানিয়ারচরে ট্রাকে আগুন দেয়ার অভিযোগে আটক রমেল চাকমার মৃত্যুর ইস্যুকে কেন্দ্র করে আবারও রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ সমর্থীত সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। শনিবার গণমাধ্যমকে দেওয়া পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রোনাল চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অবরোধ ঘোষণা করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ সফল করার জন্য জেলার সকল যান মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠন, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণে প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে দুইটি ট্রাকে আগুন দেবার ঘটনায় অভিযুক্ত মূল আসামী রমেল চাকমাকে নিরাপত্তাবাহী আটক করে ৫ এপ্রিল । আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রমেল নিজেকে ট্রাকে অগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত বলে স্বীকারও করে। পরে তাকে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় রমেল চাকমা অসুস্থ হয়ে পরলে পুলিশ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এরপর দীর্ঘ ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বুধবার সে শেষ মারা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৮