ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার বাঘমারা থানা অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ-ভারতের ভোগাই নদী দিয়ে ভেসে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল নালিতাবাড়ী উপজেলায় আসা ভারতীয় এক নাগরিকের লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ১২মে নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদী থেকে অজ্ঞাত ওই পুরুষ ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া অর্ধ গলিত লাশটির ময়না তদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ দেখানো হয় পানিতে ডুবে যাওয়া। পরে অপমৃত্যু মামলা করে লাশটিকে শেরপুর জেলা হাসপাতালের লাশের হিমঘরে রাখা হয়।
ঘটনার কয়েকদিন পরে ওই ভারতীয় নাগরিকের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নালিতবাড়ী থানা পুলিশ। মৃত ব্যাক্তি গারো হিল তোরা জেলার বাঘবাড়ী থানার জনৈক প্রমোদ মঈনের ছেলে এলিন মঈন(৫৯)।
এর মধ্যে জেলা প্রশাসন ,স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ লাশটিকে ভারতে হস্তান্তরের জন্য যথাযথ স্থানে চিঠি চলাচালিও করেছে। ঘটনার ২০দিন পর ভারতীয় দূতাবাস থেকে একজন কর্মকর্তা হাসপাতালে এসে দেখেও গেছে। কিন্তু লাশ হস্তান্তর সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা কোন পক্ষ থেকে এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক ড.মল্লিক আনোয়ার হোসেন।
জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সেলিম মিয়া জানিয়েছেন, দেড় মাস ধরে লাশটি হিম ঘরে রাখার ফলে একদিকে ব্যাপক বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে অন্যদিকে হিম ঘরের যান্ত্রিক ত্রুটি ও মরিচা পড়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। তিনি আরও জানান লাশটি সৎকার বা হস্তান্তর করতে না পরার কারণে আমারা সমস্যায় আছি।
তবে পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি জানিয়েছেন, লাশটি হস্তান্তরের জন্য আদালতের অনুমতি ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। আশা করছি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুতই লাশটি হস্তান্তর করা যাবে।
বিডিপ্রতিদিন/ ৩১ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান