ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নান হত্যার ঘটনার ২০ দিন পরে অভিযুক্ত আরেক আসামি যুবলীগ নেতা মারুফ আলী শান্তকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। অপরদিকে শান্ত’র পরিবারের দাবি শান্ত আজ নিজে ঠাকুরগাঁও থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মান্নান হত্যার আসামি শান্তকে আজ সকালে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আসামি শান্ত'র বোন বৃষ্টি দাবি করেন, আমার ভাই আজ সকালে আত্মসমর্পণের আগে আমাকে কয়েকবার কল দিছিলো। তখন আমি স্কুলে ছিলাম তাই ফোন রিসিভ করতে পারিনি। কিছুক্ষণ পরে আমার স্বামী আমাকে জানায়, আমার ভাই নাকি আত্মসমর্পণ করেছে। পরে থানায় এসে শুনি পুলিশ নাকি ভাইয়াকে ভোর বেলা নীলফামারী জেলা থেকে গ্রেফতার করেছেন।
ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান জানান, শান্ত’র পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাকে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্তের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে গত ১১ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের মুন্সিরহাট এলাকায় আব্দুল মান্নানকে ছুরিকাঘাত করেন সজীব দত্ত ও শান্ত। পরে মান্নানকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মান্নানের বড় ভাই আবু আলী বাদী হয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্ত ও পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত আসামি সজিব দত্ত, তার ভাই পিন্টু দত্ত, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, অভিযুক্ত আসামি শান্ত'র ভাই রতনকে এর আগে গ্রেফতার করেছেন। বর্তমানে তারা ঠাকুরগাঁও জেল হাজতে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার