ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার মোড় হতে পূর্বদিকে উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার একাংশের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ভালুকা-মেদিলা-বিরুনীয়া সড়ক।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কটি থানার মোড় থেকে দক্ষিণ ভালুকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এক কিঃমিঃ ও বাকশাতরা থেকে জলিল বিলের খাল পর্যন্ত তিন কিঃমি রাস্তার অবস্থা বেহাল দশা। রাস্তাটির বেশ কিছু অংশে বড় বড় শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গাড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনায় নাভিশ্বাস উঠেছে এলাকাবাসীর। প্রতিদিনই এমন চিত্র দেখতে দেখতে হচ্ছে তাদের। এমনকি রাস্তাটির সাথে সংশ্লিষ্টদের মেরামত বা সংস্কারের কোন উদ্যোগ না দেখে কিছুদিন আগে পূর্ব ভালুকা ও মেদিলার অর্ধশতাধিক উদ্যোমী যুবক সাহায্য তোলে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটির কিছু অংশ মেরামত করে।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, ভালুকা-মেদিলা-বিরুনীয়া সড়কটির প্রথম এক কিলোমিটার ও বাকশাতরা থেকে জলিল বিলের খাল পর্যন্ত তিন কিঃমি সড়ক গত বর্ষা মৌসুম থেকেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই রাস্তাটির বেহাল দশা সত্ত্বেও বহু কষ্টে ঝুঁকি নিয়েও হালকা বা মাঝারি কিছু যানবাহন চলাচল করে আসছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত সড়কটি দিয়ে যান চলাচল একেবারে কমে এসেছে। ফলে, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে উপজেলার ১১রাজৈ, ৫ নং বিরুনীয়া ও ৬ নং ভালুকা ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ভালুকা সদরের সাথে যোগাযোগের চরম দুর্ভোগ পুহালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন ধরণের মাথা ব্যাথা নেই।
পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্রমিকলীগ নেতা নাজমুল হক সরকার জানান, বছর তিন পূর্বে নাম মাত্র সংস্কার করা ছাড়া সর্বশেষ রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ কাজ কত দিন পূর্বে হয়েছিল তাও তারা মনে করতে পারছেন না। উপজেলা পর্যায়ে সরকারদলীয় ৫টি জনপ্রতিনিধি সহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বাড়ি ওই সড়কেরই, তবু কেন এই রাস্তাটির দিকে কেউ নজর দেননা তা তাদের জানা নেই।
উপজেলা এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি সংস্কার বা মেরামত করার মতো কোন ধরণের তহবিল তাদের নেই। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প প্রস্তুত করে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভালুকা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু জানান, ওই রাস্তাটি দিয়ে ২/৩ টি ইটভাটার ইট, চারটি বালু উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বর্হিভূতভাবে লাখ লাখ ঘনফুট বালি সরবরাহকারী অভার লোড ড্রামট্রাক যাতায়ত করায় রাস্তা এ বেহাল দশা হয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে জনগনের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি মাসিক মিটিং এ সড়কটির কথা অনেকবার উত্থাপন করেছি। আমি আশা করি অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাবস্থা করবেন।
স্থানীয় সরকারদলীয় সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ এম অমান উল্লাহ জানান, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ এবারের বাজেটের টাকা আসলেই এই রাস্তার কাজ করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/ ৩১ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান