জনসাধারণের প্রতিটি কাজে এখন প্রয়োজন জন্ম নিবন্ধন। আর এ জন্ম নিবন্ধন পেতে হলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়। কয়েক মাস আগে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় সহজভাবে জন্ম নিবন্ধন কার্ড পাওয়া গেলেও এখন কার্ডটি পেতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পৌরবাসী।
ঠাকুরগাঁও জেলা সদর পৌরসভায় কয়েক মাস আগেও জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিতে পৌর কর্তৃপক্ষকে দিতে হতো ৫০ টাকা। এখন দিতে হচ্ছে ৪ গুণ। অর্থাৎ বর্তমানে একটি জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিতে গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা। যেখানে ৫০ টাকায় পাওয়া যেত কার্ডটি। অন্যদিকে পুরাতন কার্ডটি ফেলে দিয়ে নতুন করে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে পুরাতন নিবন্ধনকারিদের গুনতে হচ্ছে ২৫০টাকা। কারণ তারা আগেই ৫০ টাকা দিয়ে কার্ডটি গ্রহণ করেছিলেন। সেই কার্ডটি এখন কোন কাজে আসছে না। আর যারা এ বিষয়ে অবগত নয় তারা পুরাতন কার্ড নিয়ে কাজে লাগাতে না পারায় হয়রানির পাশাপাশি বিপাকে পরছেন। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের জ্ঞতার্থে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেন নি। ফলে না জেনেই বেশিরভাগ পৌরবাসী পুরাতন জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে বিপাকে পরছেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে নতুন করে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করতে যাচ্ছেন পৌরসভায়।
ঠাকুরগাঁও শহরের হলপাড়া, জমিদারপাড়া, বাজারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আইয়ুব আলী, সাইফুল ইসলাম, তাবাসসুম বেগম, ভুট্টোসহ বেশিরভাগ পৌরবাসী ক্ষোভের সাথে জানান, জন্ম নিবন্ধন কার্ডের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের সুবিধায় কোন ব্যবস্থা নেননি। জন্ম নিবন্ধন কার্ডটি যে আর চলবে না, তা নতুন করে করতে হবে এ বিষয়ে অবশ্যই বিভিন্নভাবে প্রচার করার প্রয়োজন ছিল। আমরা পুরাতন কার্ডটি নিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে গেলে তা চলবে না জানানো হয়। এতে পৌরবাসী হয়রানীর শিকার হচ্ছে। নতুন করে জন্ম নিবন্ধন কার্ড ২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। পুরাতনদের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। তার কারণ ৫০টাকায় যে কার্ডটি নেয়া হয়েছিল, তা এখন ফেলে দিতে হচ্ছে। আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মি হয়ে পরেছি। তারা যা চাইবে তাই দিতে হবে। একটি জন্ম নিবন্ধন কার্ড পেতে কি হিসেবে ২০০ টাকা নিচ্ছেন তা খুতিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র ফয়সাল আমিন এর সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে পৌর সচিব রাশেদুল রহমান দুলাল জানান, এখন জন্ম নিবন্ধন কার্ডটি করা হচ্ছে অনলাইনে তাই পুরাতন কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তা এড়িয়ে দায় চাপান পৌর মেয়রের উপড়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার