মাছ ভর্তা, লাউ ভর্তা, রসুন ভর্তা, কলা ভর্তা, সরিষা ভর্তা, শুটকি ভর্তা, বেগুন ভাজা, শিম ভর্তা, জলপাই টক, চালতার আচার, বুটের ডাল দিয়ে গিলা–কলিজা আর মাসকলাই ডাল—এমন সব নাম শুনলেই জিভে জল আসবে যে কারো, বিশেষত বাঙালি খাবারপ্রেমীদের। কুমিল্লা নগরীতে আয়োজন করা হয়েছে এমনই ভর্তা ও আচারের উৎসব। এতে ভোজনরসিকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বাংলা খাবারের এই বুফে উৎসবের বাছাই করা খাবার ছিন্নমূল মানুষের মধ্যেও বিতরণ করা হবে। নগরীর জিলা স্কুল এলাকায় বধূয়া ফুড ভিলেজের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন করা হয়েছে। মোট ২৫টিরও বেশি বাঙালি খাবারের পদ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এতে অংশ নিতে পারবেন ভোজনরসিকরা।
বুফেতে থাকছে যেসব খাবার
সাদাভাত, পোলাও রাইস, খিচুড়ি, সবজি, মাছ ভর্তা, লাউ–সিলকা ভর্তা, চিকেন ঝাল ফ্রাই, রসুন ভর্তা, কলা ভর্তা, সরিষা ভর্তা, শুটকি ভর্তা, বেগুন ভাজা, শিম ভর্তা, জলপাই টক, চালতার আচার, বুটের ডাল দিয়ে গিলা–কলিজা, মাসকলাই ডাল, জর্দা, সেমাই, পেয়ারা, আমলকি, জিরা ড্রিংকস ও সুজির হালুয়া—মোট প্রায় ২৫টি পদ।
ভোজনরসিক জামিল আহমেদ খন্দকার, শহীদুল ইসলাম, কবির উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া খন্দকার ও মো. আল-আমিন জানান, “এই প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাদের প্রতি নজর প্রশংসনীয়। বাঙালি খাবারের এমন কোনো বুফে আমরা আগে দেখিনি। আয়োজনটি আমাদের গ্রামজীবনের পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে।”
বধূয়া ফুড ভিলেজের স্বত্বাধিকারী ফুয়াদ আহমেদ বলেন, ব্যস্ত নগরজীবনে ঘরে বসে বাঙালি খাবারের এমন আয়োজন করা কষ্টসাধ্য। গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। বাঙালিয়ানার এমন ব্যুফে সচরাচর পাওয়া যায় না। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে অংশ নিতে চাইলে আমাদের পেজে গিয়ে বুকিং করতে হবে। মূল্য রাখা হয়েছে ৪০০ টাকা।
তিনি আরও জানান, ব্যুফেতে বেঁচে যাওয়া খাবার অনাহারে থাকা মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল