মৎস্য আইনে কারেন্ট জাল উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও নাটোরের নলডঙ্গা উপজেলার নলডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের প্লার্টর্ফমের বিশাল অংশ দখল করে চলছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের হাটের রমরমা ব্যবসা। অবৈধভাবে রেলওয়ে প্লার্টফমে কারেন্ট জালের হাট বসিয়ে আবার ইজারা দিয়ে খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে খোদ হাট ইজারদার মালিকদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার শনিবার ও মঙ্গলবার নলডাঙ্গার হাটবার। এই দুই হাটের দিন সকাল থেকে দুপুর পযন্ত নলডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের দক্ষিণ দিকে সেড ঘরের সামনের বিশাল অংশ দখল করে দোকান বসান কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। হাট ইজারদারদের সহযোগিতায় শতাধিক এই দোকান বসিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে গেলেও নিরব রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
ফলে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। এদিকে রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের দক্ষিন দিকে সেড ঘরের সামনের বিশাল অংশ দখল করে নিষিন্ধ কারেন্ট জালের হাট বসায় ট্রেনের যাত্রী ও মালামাল উঠানো নামানো বেশ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুলি শ্রমিকরা।
নলডাঙ্গা হাট ইজারদার মালিকের হিসাব রক্ষক রফাতল্লা জানান, কারেন্ট জালের প্রতি হাট দুই হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকায় সাব ইজারা দেওয়া হয়। ১লা আগস্ট মঙ্গলবার আমরা উকিল নামের একজনকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় কারেন্ট জালের হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে।
তবে নলডাঙ্গার হাট ইজারদারের এক পরিচালক ব্যবসায়ী আকতার হোসেন কারেন্ট জালের হাট ইজারা দিয়ে খাজনা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমরা অবৈধ কারেন্ট জালের হাট ইজারা দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আকতার আলী জানান, রেলওয়ে স্টেশনে কোন প্রকার হাট বসানো যাবে না। রেল কৃর্তপক্ষকে না জানিয়ে এই অবৈধ কারেন্ট জালের হাট বসিয়ে অন্যায় করছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলেও জানান তিনি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইব্রাহিম হামিদ শাহিন জানান, আমি অসুস্থ হয়ে ছুটিতে আছি। আগামী হাটের দিন অবৈধ কারেন্ট জালের হাটসহ বাজারের জালের প্রতিটি দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা হাসান জানান, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের হাট বন্ধে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০১ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব