দিনাজপুরের খানসামার সবচেয়ে বড় হাট হল পাকেরহাট। এখানে প্রধান সড়ক দখল করে সকালে পাটের হাট এবং বিকালে গরু–ছাগলের হাট বসে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে রোগী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।
সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (পাকেরহাট) খানসামার গেট থেকে পাকেরহাট ডিগ্রী কলেজের গেট পর্যন্ত পাট হাটের জন্য পথচারী ও যানবাহন চলাচলে তীব্র সমস্যায় পড়ে। বিকল্প পথেও রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে ২/৩ মিনিটের জায়গায় ২৭ মিনিট লাগে।
হাসপাতালের আসে পাশের রাস্তাগুলো যানজট ও কোলাহল মুক্ত থাকার কথা। কিন্তু সড়কে এই হাট বসায় ঠিকমত এ্যাম্বুলেন্স ও যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
এ এলাকার জমির উদ্দিন শাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, পাকেরহাট ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, আকবর আলী শাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও পাকেরহাট ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হাটের দিনে কেউ প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
কয়েকজন পাট বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, হাট কর্তৃপক্ষ আমাদের যেখানে জায়গা নির্ধারন করে দিবে আমরা সেখানেই পাট বিক্রি করব ও কিনব।
পাকেরহাট হাট কমিটির সভাপতি ও আঙ্গারপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তফা আহম্মেদ শাহ জানান, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, সপ্তাহে দু'দিন এই হাট বসে। খানসামার পাকেরহাটে পাট হাট সকাল ৬টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে আর গরু ও ছাগলের হাট বিকেল ৩টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত চলে ।
বিডি প্রতিদিন/১ আগস্ট ২০১৭/হিমেল
