বরিশালের ‘মেহেন্দিগঞ্জ প্রেসক্লাব অনলাইন’ নামে একটি ফেসবুক পেজে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে একটি ধ্বসে পড়া বেইলী ব্রিজের ছবি আপলোড করে স্ট্যাটাসে বলা হয় ‘মেহেন্দিগঞ্জ চরমিঠুয়া টু আমিরগঞ্জ সড়কের লেংগুটিয়া বাজার সংলগ্ন মাতব্বর বাড়ির সামনের ব্র্রিজটি (বেইলী বিজ) যেন মরণ ফাঁদ!
জনমনে আতঙ্কের এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যানবাহন। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। জনগণের দুর্ভোগে জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষ দৃষ্টিদিন’।
ওই দিন বিকেলেই শফিকুর রহমান নামে একজন ওই পেজে কমেন্টস্ করেছেন, ‘প্রতিদিন তার দুটি বাচ্চা ওই মরন ফাঁদ পেরিয়ে লেংগুটিয়া প্রাইভেট পড়তে যায়। খুবই আতঙ্কে থাকেন, ওরা বাড়ি না ফেরা অবধি’।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের চরমিঠুয়া খেয়াঘাট থেকে বগিরচর খেয়াঘাট হয়ে লাহারহাট ফেরীঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে ২০১৩ সালে বরিশালের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের উদ্দেশ্যে। ওই সময় এই বেইলী ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সড়ক বিভাগ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করলেও বগিরচর খেয়াঘাট থেকে লাহারহাট পর্যন্ত ফেরী সার্ভিস চালু না হওয়ায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্বপ্নই থেকে গেছে চারিদিকে নদী বেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাবাসীর। জেলা সদরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত না হলেও এই সড়কের লেঙ্গুটিয়ার বেইলী ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে অভ্যন্তরীন বিভিন্ন ভারী যানবাহন, স্কুল শিক্ষার্থী-রোগী সহ শত শত মানুষ। কিন্তু ব্রিজটি সম্প্রতি এমন নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা দ্রুত বেইলী ব্রিজটি সংস্কার করার দাবী জানান।
আওয়ামী লীগ দলীয় স্থানীয় এমপি পংকজ নাথ বলেন, সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণে সারা দেশের মতো মেহেন্দিগঞ্জেও অনেক রাস্তাঘাট, কালভার্ট-ব্রিজের ক্ষতি হয়েছে। ভারী বর্ষায় লেঙ্গুটিয়া বাজার সংলগ্ন বেইলী বিজ্র সহ দুটি ব্রিজ দেবে গেছে। এতে যানবাহন এবং জনগণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তিনি খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগকে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী ব্রিজ সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, লেঙ্গুটিয়া বাজার সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্থ বেইলী ব্রিজের স্থানে একটি বক্স কালভার্ট নির্মানের জন্য আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। বক্স কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেলে জনগণের সমস্যা থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন