নাটোর জেলার সর্ববৃহৎ চালের মোকাম গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজারে চলছে অসাধু চাল ব্যবসায়ীদের রমরমা ভোক্তা ঠকানো ব্যবসা। মোটা চাল চিকন করে মিনিকেট নামে বাজারজাতকরণ, প্রতি বস্তায় ৪০০-৫০০ গ্রাম চাল ওজনে কম দেয়া, অবৈধভাবে ট্রেড মার্কা ব্যবহার, বস্তায় উৎপাদনের তারিখ ও বিক্রয়মূল্য লেখা না থাকায়, ১৫ দিন পর পর খাদ্য বিভাগের কাছে প্রতিবেদন দাখিল না করায় ও মোবাইল ফোনে সিন্ডিকেট করে চাল মজুদ করে অতি মুনাফায় বিক্রি করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪ মোকাম মালিককে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
আজ নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজ্জাকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানার আদেশ প্রদান করেন এবং একই সাথে সিন্ডিকেট ব্যবসা পরিহার করে ন্যায্য মূল্যে ভোক্তাদের চাল সরবরাহের জন্য তিনি স্থানীয় মোকাম মালিকদের নির্দেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোর্তজা খান, র্যাব-৫ এর এএসপি (সিপিসি-২) শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. নূর মোমেন, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রইসউদ্দির সরকার সহ এক প্লাটুন র্যাব সদস্য।
নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজ্জাকুল ইসলাম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষী সততা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. রায়হানউদ্দিন কে ৭০ হাজার, চৌধুরী ট্রেডার্সের কিশোর কুমার চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর অটো রাইস এজেন্সির মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রতিজনকে ৫০ হাজার টাকা এবং ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক হাজী আলমগীর কবিরকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাবের এএসপি শেখ আনোয়ার হোসেন জানান, কোন অসাধু ব্যবসায়ী চালের বাজার নিয়ে চালবাজি বা তেলেসমাতি করার চেষ্টা করলে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। চালের বাজার অস্থির করে তোলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার