নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সীমানা সংলগ্ন লালপুরের কদমচিলান ইউনিয়নের দাঁইড়পাড়া গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রেমিকা আত্মসমর্পণ করেছেন। মঙ্গলবার নাটোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
একই সময় মামলার অপর আসামি ওই প্রেমিকার বাবা মো. শাহিনুর ফকিরও আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত ওই প্রেমিকাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে তার বাবা, সৎ মা কেওয়া বেগম (৩৫) ও সৎ ভাই নাহিদ ফকিরকে (২২) জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
মামলার আরেক আসামি কদমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রেমিকার সন্ধানে এসে বাবা মো. শাহিনুর ফকিরের বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান প্রেমিক কাউছার হোসেন (৩৫)। পরে কাউছারের ভাই তাকে ঢাকায় নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ওই প্রেমিকা ঢাকার আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাধে সেখানে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয় বাকেরগঞ্জের রিয়াজুল মির্জার ছেলে ও আশুলিয়ার ঝনরন গার্মেন্টস্এ-র কাভার্ড ভ্যান চালক কাউছার হোসেনের। কাউছারের মৃত্যুর ঘটনার ৬ দিন পর তার আবু বকর বাদী হয়ে লালপুর থানায় ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রধান আসামি ওই প্রেমিকার আত্মসমর্পন ও তিন আসামির জামিনের সত্যতা স্বীকার করে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েত জানান, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে পুলিশি রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম