কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কটির বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে এটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির পিচ এবং ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এসব খানা-খন্দে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট বড় অনেক যানবাহন। রাস্তার মাঝেই অকেজো হয়ে পড়ে থাকে বাস ট্রাক, নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার গকুলনগর থেকে দেবিদ্বার উপজেলার সফুরা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কি:মি সড়কটির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দায় সারাভাবে সংস্কারের কারণে বছর না যেতেই সড়কগুলো খানাখন্দে সৃষ্টি হচ্ছে। খানাখন্দে ভরা এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করছে। গত কয়েকদিনে এ সড়কে আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে দুর্ঘটনা, এতে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহতসহ আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক যাত্রী ও পথচারী।
১০ সেপ্টেম্বর কালিকাপুরে একটি যাত্রীবাহী সুগন্ধা বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছে আটকে যায়। অপরদিকে ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার ভিরাল্লা স্টেশনে পর পর দুইটি ট্রাক উল্টে যায়, এতে প্রায় ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। শনিবার বুড়িচংয়ের দেবপুর এলাকায় দুইটি ট্রাক গর্তে আটকে থাকে।
দেবিদ্বারের আক্তার হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান,এসড়কে চলাচল করা মানুষ খুবই কষ্টে আছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য কোথাও কেউ নেই বলে মনে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সাইফ উদ্দিন জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি সংস্কারের জন্য এখনও বরাদ্দ পাইনি, তবে আলোচনা চলছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু করা যাবে।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ ইমরান জাহান