সড়ক পরিবহ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের উপকূল ও হাওর অঞ্চলের মানুষের চরম দুর্দিন যাচ্ছে। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিকে না তাকিয়ে মানবিক বিচেনায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কেউ অভুক্ত নেই। শুরুতে ত্রাণ বিতরণ কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেও এখন শৃঙ্খলার মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে।
সোমবার সকাল ১১টায় উখিয়ার পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তুমব্রু জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে এসেছি। রোহিঙ্গা সংকট, সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন তার পক্ষে ইতিমধ্যে সারা বিশ্ব অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকার নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছে। তবে কাপড়ে ভিতর ঢিল না ছুড়ে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে হবে।
ত্রাণ বিতরণের পূর্বে সেতুমন্ত্রী তুমব্রু কোনাপাড়ার খালের ওপারে জিরো পয়েন্টে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন এবং দুঃখ দুর্দশার খোঁজ খরব নেন।
এসময় সেতুমন্ত্রী সাথে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কৈশালা মামা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্নসম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড.সিরাজুল মোস্তফা, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুর রহমান, কেউচিং চাক, সাবেক সদস্য আব্দুর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল্লাহ, আবু তাহের কোম্পানী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, ঘুমধূম ইউপি চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ, ইমরান মেম্বার, খালেদ সরওয়ার হারেচ প্রমূখ।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন