নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণসহ সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের প্রায় শতাধীক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইসমিত আলী ফকির নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪৫ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আহাম্মেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত ইসমিত আলী ফকির উপজেলার কালনি হিরনাল এলাকার গিয়াস উদ্দিন ফকিরের ছেলে। এর আগে, গত বুধবার সকালে গোলাকান্দাইল-কুড়িল (৩০০ ফুট) সড়কের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশের এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সেলিম মিয়া জানান, গোলাকান্দাইল-কুড়িল (৩০০ ফুট) সড়কের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশের এলাকায় অবৈধ জনতা অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে রামদা, লাঠিসোটা, লোহার রডসহ হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছাবামাত্র সুলতান, সামসুল হক ফকির, শাহ আলম, আব্দুল মতিন, ইদ্রিস আলী ফকির, লিটন মেম্বার, বারেক, নয়ন, গুলজার, বাদল, মোদাসের, মামুন, ইয়াসিন, মহাসিন, রুবেল, সুরুজ, মতিন, সোহেল রাজবংশী, ইছাহাক, খালেকসহ ৪৫ থেকে ৫০ জন পুলিশের সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ তিনটি বিস্ফোরিত লাল কষ্টেপ দ্বারা মোড়ানো ককটেলের অংশ বিশেষ লোহারগোড়া, বিস্ফোরকের উপাদান, ইটের ভাঙ্গা টুকরা, ছয়টি লোহার টুকরা, নয়টি বাশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর রাতে কালনি হিরনাল এলাকা থেকে ইসমিত আলী ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান হুমায়ুন জানান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার প্রতিবাদে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গোলাকান্দাইল-কুড়িল (৩০০ ফুট) সড়কের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশের এলাকায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। সেখানে কোন প্রকার পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেনি। নেতাকর্মীদের ফাঁসানো ও হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন