নোয়াখালীতে এক মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের দুই দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনার সাথে জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
নোয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশসুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় ভিকটিম পরিবারের নিকট পুলিশ গেলেও তারা মামলা করতে অনিহা প্রকাশ করছে। ধারণা করা হচ্ছে লজ্জা এবং ভয়ে তারা মামলা করতে চাচ্ছেনা। তাই মামলা না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের খাতেনু জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষিকা কোরানে হাফেজা (১৫) তার মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে মাদ্র্রাসা থেকে বাড়ী যাওয়ার জন্য দ্রত রাস্তায় বের হয়। এসময় মাদ্রাসার সন্নিকটে জমাদার বাড়ির সামনে রাস্তায় যানবাহনের অপেক্ষায় থাকা ওই মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে জোরপূর্বক তুলে নেয় মধ্যম জিরতলী গ্রামের কোয়ার বাড়ীর ইউছুপের ছেলে মোরশেদ (২৩), একই গ্রামের বেপারী বাড়ির তরিক উল্লার ছেলে বাবুল (২৫) এবং একই গ্রামের জমাদার বাড়ীর সালাউদ্দিন (৩০)। পরে তারা শিক্ষিকাকে পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগে জানা যায়। ঘটনার প্রায় ১ঘণ্টা পর এলাকাবাসী টের পেয়ে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে জীরতলী বাজারে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে বাড়ির ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিতে চাইলে পরে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়, ডায়েরী নং-২৩৬৭।
ওই শিক্ষিকার বাড়ি বেগমগঞ্জের দূর্গাপুর গ্রামে এবং তার বাবা সেতু ভাঙ্গা একটি মসজিদের ইমাম বলে জানা যায়। এ দিকে এ ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পড়ে লেগেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন